শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫০ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: মাদারীপুরে প্লানেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসকের গাফিলতির কারণে সৈয়দা মাজেদা বেগম নামে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে পাওয়া গেছে। রোগীকে অপারেশন থিয়েটারে রেখেই চিকিৎসক পালিয়ে যান বলে দাবী করেছেন রোগীর স্বজনরা।
শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সকালে মাদারীপুর শহরের কলেজ রোড এলাকার প্লানেট হাসপাতালের ভেতরে এ ঘটনাটি ঘটে। মৃত সৈয়দা মাজেদা বেগম মাদারীপুর ডাসার উপজেলার ডাসার গ্রামের মৃত নুরুউদ্দীন আহম্মেদের স্ত্রী।
মৃতের স্বজনরা জানান, গত বৃহস্পতিবার বাড়ির সিড়ি থেকে নামার সময় পড়ে গিয়ে হাটুর জয়েন্টে আঘাত পায় মাজেদা বেগম। পরে পরিবারের লোকজন রাতে শহরের প্লানেট হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান। এ সময় এক্সে করানোর পরে দায়িত্ব থাকা চিকিৎসক মহসিনা খান (আইরিন) হাটুর অপারেশন করানোর কথা বলেন।
পরে শুক্রবার সকাল ৮ টার দিকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান তারা। সকাল ৯ টার দিকে ওই চিকিৎসক রোগীকে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের করে উন্নত চিকিৎসার জন্য এম্বুলেন্সে উঠিয়ে দিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। এসময় চিকিৎসক হাসপাতাল থেকে সটকে পড়েন। স্বজনরা রোগীর রিপোর্ট চাইলে হাসপাতাল থেকে জাননো হয় রোগী মারা গিয়েছেন।
মৃত মাজেদা বেগমের ছোট ছেলে সৈয়দ মুনিম অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতালের ডাক্তার আইরিনের গাফলতির কারণেই আমার মায়ের মৃত্যু হয়েছে। তিনি যদি না পারতেন তাহলে কেন আমার মায়ের অপারেশন করালেন। তাও অপারেশন করানোর মাঝেই আমার মাকে ওটি থেকে বের করে দিয়ে বলেন অন্য কোথাও নিয়ে যেতে। ঘটনা ঘটিয়ে সাথে সাথেই তিনি পালিয়ে চলে গেছেন।
মৃত মাজেদা বেগমের বড় ছেলে সৈয়দ আবুল কালাম বলেন, আমার মায়ের রিপোর্ট ভালো ছিলো। ডাক্তার আইরিন অপারেশন রুমে নিয়ে অপারেশন কম্পিলিট না করেই চলে যান। তারা তখনো বলে নি আমার মা মারা গেছে। তারা ২ ঘণ্টা পরে এম্বুলেন্সে উঠিয়ে ইসিজি করে বলেন ওনি মারা গেছেন। কোনো দায়িত্বশীল লোক এগিয়ে আসেনি। আমার মায়ের মতো এভাবে যেন আর কাউকে মারা যেতে না হয় সরকার আর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নজর দেওয়া উচিত।
এব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন তালবাহানা করে কথা বলতে রাজি হয়নি। চিকিৎসকও ঘটনার পর থেকে সরে পড়েন হাসপাতাল থেকে।
মাদারীপুর সদর থানার ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. মুনির আহমেদ খান বলেন, আমি এখনো বিষয়টি শুনিনি। তবে এ ঘটনায় অভিযোগ আসলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।